আমলার দোষ , রাজনীতিকদের ঘাড়েচাপা !
একবার নিজের ব্যক্তিগত কাজেই গিয়েছিলাম কেরানীগঞ্জের সহকারী কমিশনার(ভূমি) কামরুল হাসান সোহেল ভাইয়ের কাছে,কাজ হোক বা না হোক উনি আমায় যে পরামর্শ দিলেন তা আমার অনাগত দিনের পাথেয়।আবার আশার সময় পকেটে ১০০০ টাকা ঢুকিয়ে ও দিলেন।যাই হোক এভাবে শুধু ব্যক্তি আমি নয় অসংখ্য মানুষের ভালবাসার পাত্র সরকারি আমলা কামরুল ভাই।এর জন্য দিনশেষে আমার মত সকলে ধন্যবাদ দেয় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কে,এই যা।এমন নাম না বলা হাজারো ভালো আমলা যেমন সচিবালয় থেকে মাঠ পর্যায়ে আছে তেমনি দুর্নীতিবাজ আমলার সংখ্যা ও নেহাত কম নয়।এমন আমলা তৈরি করার ক্রেডিট যেমন সরকারের তেমনি দুর্নীতিবাজ আমলার বদনাম ও সরকারকেই নিতে হয়।
সাংবাদিকের গলা চেপে ধরা যত সহজ,আমজনতার গলা চেপে ধরা তার চেয়ে কয়েক হাজার গুন সহজ!কিন্তু গনতন্ত্রের গলা চেপে ধরা কি সহজ?
শুধুমাত্র ক্ষমতায় আমলারা স্বপদে বহাল থাকেন।মন্ত্রী পরিবর্তন হলেও মন্ত্রণালয়ের দুর্নীতিবাজ আমলাদের পরিবর্তন হয় না।ক্ষমতা পেয়ে মন্ত্রী চেয়ারে বসেছেন পাঁচ বছর। কিন্তু আমলারা নিজের চেয়ারে বসে আছন কয়েক দশক ধরে। কলকাঠি তো তাদের হাতে। আমরা সমালোচনা করি, তুলোধুনা করতে পারি শুধু রাজনীতিকদের। রাজনীতিকরাই বিভিন্ন শাসনামলে দুর্নীতির সমালোচনার প্রধান লক্ষ্যবস্তু। আমলাদের পরস্পর একে অপরের পিঠ চুলকানো সুখে বেশ ভালোই থাকেন। নিয়োগবাণিজ্য, টেন্ডার থেকে শুরু করে টিকিট কালোবাজারি, রিকশাচালকের ঘাম ঝরানো টাকা আমলাদের পকেটে যায়। কিন্তু নির্দিষ্ট এক দিকে (রাজনীতিকের) সমালোচনার আড়ালে এ আমলাপক্ষ সমালোচনার ঊর্ধ্বে থেকে যায়। যাদের আমরা ধরাছোঁয়ার বাইরেই রাখি সারা জীবন।আমলাদের রাজনৈতিক আদর্শগুরু থাকেন না।থাকলে সাংবাদিক রোজিনার গলা চেপে ধরতেন না,ধরতে পারতেন ই না! যখন যে দল ক্ষমতায় থাকে তখন তাদের তোষামোদে অজ্ঞান থাকেন। তেল মর্দন করতে তারা এতটাই পটু যে কোথায় তেল দিতে হয় তা মুখস্থ।
একটি মন্ত্রণালয়ে প্রধান কাজ করেন আমলারা। বালিশ কাণ্ড, বঁটির দাম ১০ হাজার টাকা, পর্দার দাম লাখ টাকা, মেডিক্যাল যন্ত্রপাতির ভুয়া ভাউচার সব কিছুর বুদ্ধিদাতা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমলারাই করেন। কার কাছে কত দিয়ে বাগে আনা যাবে, সেটা সরকারি কোষাগার থেকে কিভাবে বের করতে হবে সব প্রস্তুত করেন তারা।আবার দুর্নীতিগ্রস্ত টাকাওয়ালা আমলা যদি একজন সৎ/দেশপ্রেমিক আমলার বস/স্যার হয়ে থাকেন তাহলে ও আবার সেই ভালো আমলার কিচ্ছুই করার থাকে না।হে জাতির মেধাবী সন্তান,হে জাতির বিনিয়োগের ফসল,হে গেইম মেকার, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনির্মানে আপনাদের অগ্রণী ভূমিকা দেখতে আপনাদের দিকে তাকিয়ে আছি আমরা ১৭ কোটি বাঙালি।প্লিজ!প্লিজ!প্লিজ...
আমলার দোষ,রাজনীতিকদের ঘাড়েচাপা!
লেখক ঃ আই.কে. জিসান, শিক্ষার্থী,কবি নজরুল সরকারি কলেজ,ঢাকা।
1 মন্তব্যসমূহ
জিসান দারুণ লিখছো, ভাইয়া৷
উত্তরমুছুন