ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় রেমাল (কোথায় আগাত করবে) cyclone remal update| s media tv

ধেয়ে আসছে দেশের দিকে ঘূর্ণিঝড় রেমাল। চলতি মাসেই বড় প্রাকৃতিক দুর্যোগের আশঙ্কা করছেন অনেকেই । ঘুর্ণিঝড় রেমাল কোথায় কিভাবে আছরে পড়তে পারে বিস্তারিত আলোচনা করবো আজকের ভিডিওতে, তাই সম্পর্ন ভিডিওটি দেখতে থাকুন।
ঘুর্ণিঝড় রেমাল, বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া এবারের ঘূর্ণিঝড়ের নাম দিয়েছেন ওমান । 
বর্তমানে বঙ্গোপসাগড় সাভাবিক থাকলেও মে মাসেই বঙ্গোপসাগরে দুটি নিম্নচাপ তৈরি হতে পারে । আগামী ২০ মে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে তৈরি হতে পারে ঘূর্ণাবর্ত। এরপর সেটি ক্রমে উত্তর দিকে অগ্রসর হবে। শক্তি বাড়িয়ে ২৪ মে নাগাদ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে । ২৫ মে সন্ধার পর পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশের উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে বলে ধারনা করা হচ্ছে। বাংলার উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে এর প্রভাব পড়তে পারে, বিস্তারিত আপডেট আপনাদেরকে জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবো ইনশাল্লাহ। ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ কত থাকবে, ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা কতটা, তা ঘিরে এখনও স্পষ্ট কিছু জানায়নি আবহাওয়া দপ্তর।
গত কয়েক বছরে মে মাসেই ঘূর্ণিঝড় আয়লা, ফণী, আমফান, ইয়াসের তাণ্ডবে লন্ডভন্ড হয়েছে পশ্চিম বঙ্গ ও বাংলাদেশ। ঘূর্ণিঝড় 'রেমাল' কতটা শক্তিশালী হবে, সুপার সাইক্লোনে পরিণত হবে কি না, তার দিকেই নজর রয়েছে আবহাওয়াবিদদের।

গত একমাসের বেশি সময় ধরে তীব্র তাপপ্রবাহ ছিল বাংলাদেশ জুড়ে। চলতি মাসের প্রথম থেকে বৃষ্টির পরে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে বাংলাদেশে। সেখানে বৃষ্টি কমে আবার তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করবে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। তবে  এই তাপপ্রবাহ এপ্রিল মাসের চেয়ে কম থাকবে বলে ধারনা করা হচ্ছে । অন্যদিকে, চলতি মাসের শেষদিকে সেখানে ঘূর্ণিঝড় হতে পারে বলেও পূর্বাভাস দিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। তাঁরা জানান, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হতে পারে নিম্নচাপ।

চলতি মাসের শেষদিকে ওই নিম্নচাপ প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নিতে পারে। আমেরিকা এবং ইউরোপিয়ান আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেলও দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে। সম্ভাব্য এই ঘূর্ণিঝড়ের নাম হবে 'রিমাল'। আগামী ২০ থেকে ২৭ মের মধ্যে শক্তিশালী এই ঘূর্ণিঝড়টি সরাসরি বাংলাদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গের উপকূল দিয়ে স্থলভাগে উঠে আঘাত হানতে পারে।

বাংলাদেশের ওপর মৌসুমী বায়ুপ্রবাহ শুরু হয় সাধারণত ৩০ মে থেকে ৭ জুনের মধ্যে। এখন পর্যন্ত বঙ্গোপসাগরে কোনও নিম্নচাপ সৃষ্টি হয়নি। তাই বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির জন্য যথেষ্ট পরিমাণে শক্তি জমা হয়েছে।  এই ঘূর্ণিঝড়টি ২০ মের পরে সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।  তাই  েএই ঘুর্ণিঝড়টি  খুবই শক্তিশালী হয়ে উঠতে পারে।

আগামী ২৩-২৫ মে সেটা স্থলভাগে আঘাত করতে পারে। কক্সবাজার থেকে পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী কোন  এলাকায় আঘাত হানতে পরে তা এখনও স্পষ্ট করে জানা যায়নি। বঙ্গোপসাগরের পশ্চিম উপকূলে আঘাত করলে বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ১৫০ -১৮০ কিলোমিটার হতে পারে  এবং পূর্ব উপকূলে আঘাত করলে তা ঘণ্টায় ১৭০-২০০ কিলোমিটার  পর্যন্ত হতে পারে বলে ধারনা করা হচ্ছে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ