ভোলা জেলার ইতিহাস

 

ভোলা জেলার ইতিহাস


ভোলা জেলার বিখ্যাত বা দর্শনীয় স্থানতথ্য

  1. চরফ্যাশন জ্যাকব টাওয়ার
  2. শেখ রাশেল শিশু পার্ক, চরফ্যাশন
  3. মেঘনা নদীর তীর মাদ্রাজ
  4. শাহবাজপুর গ্যাস ক্ষেত্র
  5. মনপুরা দ্বীপ
  6. মনপুুরা ফিশারিজ লিমিটেড
  7. চর কুকরী মুকরী
  8. ওয়াচ টাওয়ার, চরফ্যাশন
  9. শিশু পার্ক
  10. দেউলি
  11. বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল যাদুঘর
  12. ঢাল চর
  13. তারুয়া সমূদ্র সৈকত
  14. মাদ্রাজ ব্লক স্পট
  15. বেতুয়া ঘাট

ভৌগলিক পরিচিতি

 

ভোলা জেলার ইতিবৃত্ত

 

 

গাঙ্গেয় অববাহিকার নিম্নাঞ্চলে অবস্থিত দেশের একমাত্র দ্বীপ ভোলা । বর্তমান ভোলা একদা বৃহত্তর বরিশাল জেলার একটি মহকুমা ছিল। ১৮৫৪ সালে দ্বীপটি মহকুমায় উন্নীত হয়। ১৯৮৪ সালে মহকুমা থেকে জেলার মর্যাদা পায়। ভোলার আদি নাম ছিল দক্ষিণ শাহবাজপুর। চারদিকে নদী পরিবেষ্টিত এ জনপদের ইতিহাস ও ঐতিহ্য আবহমান বাংলার অন্যান্য অঞ্চলের মতোই। এলাকার কিংবদমত্মী, মসজিদ মন্দিরের স্থাপত্য ও নানা ঐতিহাসিক নিদর্শণ বিশে­ষণ করলে অনুমিত হয় এ জনপদ মাত্র ৭/৮ শত বছর আগে সভ্যতার আলোকপ্রাপ্ত হয়েছে। মহারাজা কন্দর্প নারায়ণের কণ্যা বিদ্যাসুন্দরী ও কমলা রাণীর দিঘির ইতিহাস এ অঞ্চলের লোক সংস্কৃতির একটি অংশ। এ দিঘির কাহিনী নিয়ে সুদুর তামিলনাড়ুর নিম্নাঞ্চলে এখনও গান পরিবেশিত হয়। মেঘনা, তেঁতুলিয়া বিধৌত বঙ্গোপসাগরের উপকুলে জেগে ওঠা প্রায় ৯০ মাইল দৈর্ঘ্য ও ২৫ মাইল প্রস্থ বিশিষ্ট এ ভূখন্ডের প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো যেদিকে চোখ যায় সব দিকে শুধু সমতল ভূমি।  ফসলের দোলায়মান দিগমত্ম বিসত্মৃত মাঠ দেখে মানুষের মনে জেগে ওঠে বাউলের গান ও রাখালের বাঁশীতে ভর করে মোহনীয় সুর। প্রাকৃতিক সুষমামন্ডিত এ এলাকার গাছ গাছালী, পাখীর কুজন বারমাসী ফলমূল সত্যিই উলেস্নখযোগ্য।

 

হিমালয় থেকে নেমে আসা ৩টি প্রধান নদী পদ্মা, মেঘনা ও ব্রহ্মপুত্র বাহিত পলি দিয়ে মোহনায় গড়ে উঠেছে এ দ্বীপ। সমুদ্র সমতল থেকে এর গড় উচ্চতা ১২ ফুটের মতো। নৃ-তত্ত্ব ও ভূ-তত্ত্ববিদরা মনে করেন ‘‘পূর্ব দিকে মেঘনা ও পশ্চিম দিকে তেঁতুলিয়া নদী বঙ্গোপসাগরের মোহনায় এসে গতিবেগ হারিয়ে ফেলে। ফলে এ শামত্ম স্থানটিতে কালক্রমে পলি ও নদীতে বয়ে আসা বর্জ্য জমা হয়ে আজকের ভোলা নামক দ্বীপটির জন্ম।’’

 

ভোলার জন্ম খুব বেশি দিনের নয়। আনুমানিক ১২৩৫ সালের দিকে দ্বীপটি গড়ে ওঠতে শুরম্ন করে। এখানে প্রথম চর পড়া শুরম্ন হয় ১২৩৫ সালের দিকে এবং ১৩০০সালের দিকে চাষাবাদ শুরম্ন হয় বলে জে. সি. জ্যাক বাকেরগঞ্জ গেজেটিয়ারে উলেস্ন­খ করেন। এলাকার ধান, চাল, সুপারি, নারিকেল ও অন্যান্য প্রাচুর্যে প্রলুব্দ হয়ে একের পর এক বিদেশী শাসক ও পর্তুগীজ জলদস্যুরা এসেছে এখানে। ১৫০০ সালের দিকে মগ ও পর্তুগিজ জলদস্যুদের নজর পড়ে এ দ্বীপটির ওপর। তারা দ্বীপটিকে ঘাঁটি বানিয়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে নির্বিঘ্নে লুটপাট চালিয়ে যেতে থাকে। এছাড়াও আরাকানের বর্গি ও মগরা দক্ষিণ শাহবাজপুরসহ আশেপাশের দ্বীপকে ঘাটি বানিয়ে লুটপাট চালিয়ে এদেশের সাধারণ মানুষের মনে ভীতি সৃষ্টি করে রাখত। এরই প্রেক্ষাপটে সম্ভবত রচিত হয়েছিল -

 

‘‘খোকা ঘুমালো পাড়া জুড়ালো বর্গি এলো দেশে, বুলবুলিতে ধান খেয়েছে, খাজনা দিব কিসে ?

ধান ফুরালো পান ফুরালো খাজনার উপায় কি ? আর কটা দিন সবুর কর রসূন বুনেছি’’-

 

 

১৫১৭ সালে জন ডি সিলবেরা নামক জনৈক পর্তুগীজ জলদস্যু দ্বীপটি দখল করে। পর্তুগীজদের রেখে যাওয়া ভীম দর্শণ কিছু রোমশ কুকুর আজও দক্ষিণাঞ্চলের মানুষকে সেসব লোমহর্ষক অত্যাচারের কাহীনি স্মরণ করিয়ে দেয়। বলা বাহুল্য মনপুরা ছিল এদের দস্যুবৃত্তির লীলাক্ষেত্র।

 

১৮ শতকে দক্ষিণ শাহবাজপুরের আয়তন ছিল মাত্র ২৫২ বর্গমাইল। ১৮২২সাল পর্যমত্ম শাহবাজপুর ছিল বাকেরগঞ্জ জেলার অংশ। উনিশ শতকের প্রথমভাগে মেঘনার শাখা ইলিশা ও তেঁতুলিয়া বৃহত্তর আকার ধারণ করে। ফলে ভয়ংকর কালাবঁদর নদী পাড়ি দিয়ে নৌকা পথে জেলা সদর দফতরের সাথে দক্ষিণ শাহবাজপুরের যোগাযোগ রক্ষা করা অসম্ভব হয়ে পড়ে। তাই সরকার সিদ্বামত্ম নেয় বাকেরগঞ্জ হতে দক্ষিণ শাহবাজপুর ও হাতিয়াকে নোয়াখালীর অমর্ত্মভূক্ত করার। ১৮২২ সালের ২২ এপ্রিল জেলা ম্যাজিস্ট্রেট দক্ষি শাহবাজপুরকে নোয়াখালীর অমর্ত্মভূক্ত করার সুপারিশ করেন এবং ঐ বছর ৩ জুলাই নোয়াখালীর জয়েন্ট ম্যাজিস্ট্রেট এইচ, পারকার দক্ষিণ শাহবাজপুরের দায়িতব বুঝে নেন। ১৮৬৯ সাল পর্যমত্ম ভোলা নোয়াখালীর অধীনে ছিল।

 

ভোলা জেলার নামকরণের পেছনে স্থানীয়ভাবে একটি কাহিনী প্রচলিত আছে। ভোলা শহরের মধ্যে দিয়ে বয়ে যাওয়া বেতুয়া নামক খালটি এখনকার  মতো অপ্রশসত্ম ছিলনা। একসময় এটি পরিচিত ছিল বেতুয়া নদী নামে। খেয়া নৌকার সাহায্যে নদীতে পারাপার চলতো। খুব বুড়ো এক মাঝি এখানে খেয়া নৌকার সাহায্যে লোকজন পারাপার করতো। তার নাম ছিল ভোলা গাজী পাটনী। আজকের যোগীরঘোলের কাছেই তার আসত্মানা ছিল। এই ভোলা গাজীর নামানুসারেই এক সময় স্থানটির নাম হয় ভোলা। ভোলার অন্যান্য উপজেলাও বিভিন্ন ব্যক্তির নামে নামকরণ করা হয় যেমন দৌলতখাঁ, তজুমুদ্দি, বোরহানউদ্দিন ও লালমোহন।

 

প্রাকৃতিক অনেক বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়েও ভোলাবাসী এখনও আশার আলো দেখতে চায়। এ নৈস্বর্গিক দ্বীপ ভোলা জেলায় মূল্যবান প্রাকৃতিক ও খনিজ সম্পদ শুধু জেলাবাসীর জন্যই নয় সমগ্র দেশের জন্য আশানুরূপ সুফল বয়ে আনার প্রত্যাশা রাখে। এ জেলায় উৎপাদিত রূপালী ইলিশ ভোলা বাসীর চাহিদা পূর্ণ করে দেশের অন্যান্য জেলায় এমনকি বিদেশে রপ্তানী করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে সপ্তম হয়েছে। চরফ্যাশন,তজুমুদ্দিনসহ অন্যান্য উপজেলায় উৎপাদিত বাগদা চিংড়ি চাষের মাধ্যমে ইতোমধ্যে অনেক মৎস্য চাষী মৎস্য সম্পদ উন্নয়নের সুফল বয়ে এনেছেন। বোরহানউদ্দিন উপজেলায় প্রাপ্ত গ্যাস সম্পদকে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে উত্তোলনের মাধ্যমে গোটা দক্ষিণাঞ্চলকে গ্যাসের আওতায় এনে এখানে স্থাপন করা যায় একটি সার কারখানা। এছাড়াও এ গ্যাস দিয়ে ০২ টি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র  স্থাপন করা হয়েছেঃ ০১। রেন্টাল পাওয়ার প্ল্যান্টঃ ৩৪.৫ মেঘাওয়াট এবং ০২। বোরহানউদ্দিন বিদ্যুৎ কেন্দ্রঃ ২২৫ মেঘাওয়াট। এছাড়াও রয়েছে ভোলার দক্ষিণে চর কুকরী মুকরী, ঢালচর, লতার চর ও চর নিজাম সহ অসংখ্য চর। নৈসর্গিক দৃশ্য সম্বলিত এ চরগুলো হতে পারে পর্যটনের জন্য আকর্ষণীয় স্থান।

 

সমস্যা ও সম্ভাবনার বেদীমূলে দাঁড়িয়ে আজকের ভোলা তাকিয়ে আছে সামনের পানে। খাদ্যে উদ্বৃত্ত ও রূপালী ইলিশ সমৃদ্ধ হলেও ঝড়-জ্বলোচ্ছাস ও নদী ভাঙ্গনের তান্ডবকে নিয়তির অমোঘ বিধান বলে মেনে নিয়েছে এখানকার মানুষ। তাই বলে তারা থেমে থাকেনি। একটি সুন্দর ও সম্ভাবনাময় ভবিষ্যত গড়ার স্বপ্ন বুকে নিয়ে তারা অবিশ্রান্ত পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে এগিয়ে চলছে সম্মুখের পানে।


জেলার ঐতিহ্য

ভোলা বাংলাদেশের বৃহত্তম প্রাচীন গাঙ্গেয় ব-দ্বীপ। এখানকার সংস্কৃতিতে রয়েছে মিশ্র প্রভাব। ভোলার মেঘনা তেতুলিয়ার তীর ঘেষে রয়েছে ছোট ছোট জেলে পল্লী। মাছ ধরা মৌসুমকে সামনে রেখে পল্লীর মহিলা ও শিশু কিশোররা পালাগান গেয়ে রং বেরংয়ের সুতা দিয়ে জাল বোনে। এক কিলোমিটার এলাকা জুড়ে এসব জাল টানানো হয়। তখন বাড়িতে বাড়িতে চলে উৎসব।

এখানে জমিদারী প্রথা বিলুপ্ত হলেও অনেক জমিদার বাড়ি সগৌরবে দাড়িয়ে আছে। যেমন- মানিকা মিয়া বাড়ি, কুতুবা মিয়া বাড়ি, দেউলা তালুকদার বাড়ি, পরান তালুকদার বাড়ি, রজনী করের বাড়ি ইত্যাদি। তবে দৌলতখানের জমিদার কালা রায়ের বাড়ি ছিল বিখ্যাত। তার প্রাসাদে হতো বাইজী ও ক্লাসিকাল ঢঙের ওস্তাদদের গান। নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে এ বাড়ি। এছাড়া জাগ্রত মাজার হচ্ছে হযরত উজির চান করনীর মাজার।

ভোলার ঘুইঙ্গার হাটের মিষ্টি ও ঘোষের দধির সুনাম দীর্ঘকাল ধরে। অতিথি আপ্যায়ন ও জামাই আপ্যায়নে ভোলাবাসীর প্রথম পছন্দ এ দধি ও মিষ্টি। বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে এ মিষ্টি ও দধি উপঢৌকন হিসেবে পাঠানো হয়।

ভোলায় এককালে লবণ তৈরি হতো। সমুদ্রের লবণাক্ত পানি খাল দিয়ে ভোলায় অভ্যন্তরে প্রবেশ করলে লবণাক্ত পানি আটকিয়ে আগুনে জ্বাল দিয়ে লবণ তৈরি করা হতো। অধিকাংশ লবণ তখন তজুমদ্দিন, মির্জাকালুতে বিক্রি হতো। ব্রিটিশ সরকার লবণ কর বৃদ্ধি ও নানা বিধি-নিষেধ আরাপ করায় ১৯৩০ সালে ভোলায় লবণ আন্দোলন শুরু হয়। ১৯৩০ সালের ১লা বৈশাখ পুলিশের গুলিতে ২জন মারাও যায়। পরে লবণ উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেলেও সে স্মৃতি আজো অম্লান হয়ে আছে।

ভোলা একটি গ্যাস সমৃদ্ধ এলাকা হিসেবে পরিচিত। ভোলা শাহবাজপুর গ্যাস ফিল্ডে ১ ট্রিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস মজুদ আছে। এ গ্যাস দিয়ে ভোলার চাহিদা মিটিয়েও বাইরে পাঠানো যায়। এ গ্যাস দিয়ে ইতোমধ্যেই একটি সার কারখানা স্থাপনের নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। বর্তমানে ৩৪.৫ মেগাওয়াট রেন্টাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রে গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে।

ভোলা মহিষের বাথানের জন্য বিখ্যাত। ভোলার বিভিন্ন চরে অর্ধশতাধিক মহিষের বাথান আছে। এসব বাথান থেকে প্রতিদিন শত শত কেজি দুধ উৎপাদিত হয় এবং এ দুধ থেকেই তৈরি হয় বিখ্যাত মহিষের দধি, পনির ও ঘি। এসব ভোলার বাইরে পাঠানো হয় বিক্রির জন্য।

ভোলার বিচ্ছিন্ন দ্বীপ মনপুরা ছিল পর্তুগীজ দস্যুদের দখলে। পরে এখানে বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা লোকজন বসতি স্থাপন করে। এখানে কান লম্বা, কেশর ভরা বিখ্যাত জাতের কুকুর ছিল। এখন বিলুপ্ত প্রায়। এখানে পর্তুগীজের তৈরি করা প্যাগোডার ধ্বংসাবশেষ রয়ে গেছে।

এখানে গ্রামাঞ্চলে দাড়িয়াপাল্লা, ফুটবল, কাবাডি, হাডুডু খেলার প্রচলন ছিল। এখনও এসব খেলা হয়। ভোলার কলঘাট এলাকায় একসময় স্টিমার ঘাট ছিল। নদী ভরাট হয়ে যাওয়ায় এখন এটি শুধু স্মৃতি।

 

ভোলার ঐতিহ্য নিয়ে এ পর্যন্ত কয়েকটি বই বেরিয়েছে। বই সমূহের নাম ও লেখকের নাম নিম্নে দেয়া হলঃ

ক্রম

বইয়ের নাম

লেখক

১.

ভোলা জেলার ইতিহাস

অধ্যাপক মোহাম্মদ হোসেন চৌধুরী

২.

পলি মাটির দেশ ভোলা

মোস্তফা হারুন

৩.

বাকেরগঞ্জের ইতিহাস

সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী


ভোলা জেলার গুরুত্বপূর্ণ তথ্য


*বাংলাদেশের বৃহত্তম দ্বীপ, দ্বীপের রাণী ও দ্বীপ জেলা ভোলা।
*ভোলা মেঘনা নদীর মোহনায় অবস্থিত।
*ভোলার নামকরণ করা হয় “ভোলা গাজী পাটনী” নামে এক ব্যক্তির নামানুসারে।
*ভোলার পূর্বনাম দক্ষিণ শাহাবাজপুর।
*ভোলার আয়তন ৩৪০৩ বর্গ কি.মি.(উইকিপিডিয়া), ৩৭৩৭ বর্গ কি. মি.(বাংলাপিডিয়া)।
*ভোলায় ৭টি উপজেলা, ৫টি পৌরসভা, ৬২টি ইউনিয়ন, ৪০৯টি মৌজা, ৪৬১টি গ্রাম আছে।
*বর্তমান জনসংখ্যা ১,৭০৩১১৭ জন, শিক্ষার হার ৩৬.৮৯%।
*সংসদীয় আসন ৪টি, লালমোহন(১১৭)।
*সবচেয়ে বড় উপজেলা চরফ্যাশন এবং সবচেয়ে ছোট উপজেলা বোরহান উদ্দিন।
*দর্শনীয় স্থান- চর কুকরী-মুকরী, বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল স্মৃতি যাদুঘর, মনপুরা দ্বীপ(এ দ্বীপে পর্তুগীজরা এসে বসবাস করে), শাহাবাজপুর গ্যাস ফিল্ড ও জ্যাকব টাওয়ার, মেঘনা নদী, তেতুলিয়া নদী ও তারুয়া সমুদ্রসৈকত ইত্যাদি।
*ভোলা ও মনপুরার মাঝে নদীটির নাম শাহাবাজপুর চ্যানেল।
*বিখ্যাত ব্যক্তিবর্গ- নাজিউর রহমান মন্জু( আধুনিক ভোলার জনক বলা হয়), বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল, এভারেস্ট বিজয়ী এম এ মুহিত, তোফায়েল আহমেদ, হাফিজ উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।
*ভোলার উত্তরে বরিশাল ও মেঘনা নদী, দক্ষিনে বঙ্গোপসাগর, পূর্বে লক্ষীপুর ও নোয়াখালি, পশ্চিমে তেতুলিয়া নদী ও পটুয়াখালী।

ভোলা জেলার বিক্ষাত খাবার


দ্বীপ রানী ভোলা জেলার বিখ্যাত কিছু খাবার যার সারা বাংলাদেশে সুনাম রয়েছে।
-- ভোলার মহিষের দধি
-- মিষ্টি
-- বাংলাদেশের অর্ধেকের বেশি ইলিশ ধরা পড়ে ভোলাতে
--- সুপারি
--- ডাব ইত্যাদি

ভোলা জেলা কিসের জন্য বিখ্যাত?

বরিশাল বিভাগের অন্তর্গত ভোলা জেলাটি আমাদের দেশের দক্ষিনাঞ্চলে অবস্থিত। এ জেলাটির পূর্ব নাম ছিল দক্ষিণ শাহবাজপুর। আয়তনের দিক দিয়ে এ জেলাটি প্রায় ৩৪০৩.৪৮ বর্গ কিমি। এই জেলাটির পশ্চিমে অবস্থিত বরিশাল জেলা, পটুয়াখালী জেলা ও তেঁতুলিয়া নদী, পূর্বে রয়েছে লক্ষীপুর জেলা ও নোয়াখালী জেলা, দক্ষিনে অবস্থিত বৃহত্তর বঙ্গোপসাগর এবং উত্তর দিকে অবস্থিত বরিশাল জেলা ও মেঘনা নদী।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ